কন্টেনারের চাকা পিষ্ট করলো মটোরবাইক আরোহীকে : দুর্ঘটনা ঝুলন্ত রেল সেতুতে

24th November 2021 9:13 am বর্ধমান
কন্টেনারের চাকা পিষ্ট করলো মটোরবাইক আরোহীকে : দুর্ঘটনা ঝুলন্ত রেল সেতুতে


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) :  মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত‍্যু হলো এক বাইক আরোহীর ।  মৃতের নাম সন্তোষ মিশ্র । ঘটনা বর্ধমানের নতুন ঝুলন্ত রেল সেতুতে । স্থানীয় সুত্রে জানা যায় সন্তোষ মিশ্র (৪০) তিনি বর্ধমানের বাজেপ্রতাপুর এলাকার বাসিন্দা।  বর্ধমান কাটোয়া রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে উনি ফিরছিলেন সেইসময় ১০ চাকার একটি কন্টেনার কাটোয়ার দিকে যাওয়ার সময় বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে কন্টেনার  চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে তৎক্ষনাৎ ওই বাইক আরোহীর মৃত‍্যু হয়। চাকায় পিষ্ট হয়ে যাবার পরেও বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে যায় চলন্ত কন্টেনারটি । তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে কন্টেনারের চালক পলাতক । আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে  আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায় । পুলিশ কর্মীরাও  ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে ।স্থানীয় ও পুলিশের তৎপরতায় ক্রেন নিয়ে এসে কন্টেনারের চাকার নিচ থেকে বাইক আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ।এর ফলে বেশ কিছুক্ষন যান চলাচল ব‍্যাহত হয়।পরে যানচলাচল আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ব্রিজের উপর কোনো আলো জ্বলে না । সন্ধ‍্যার পর থেকেই অন্ধকার হয়ে থাকে । বারংবার পৌরসভায় জানানো হলেও তার কোনো সুরাহা মেলেনি।অবিলম্বে ওভার ব্রিজে আলোর ব‍্যবস্থা করুক তা না হলে আরো দুর্ঘটনা ঘটবে । মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ।  সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করছে বর্ধমান থানার পুলিশ । কন্টেনারের চালক ও খালাসির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ । কন্টেনারটির নম্বর অনুসারে সেটি মহারাষ্ট্রের বলে স্থানীয় রা জানিয়েছেন ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।